মোঃ মাসুদ সরদার বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ দুইশত বছর পর অবশেষে একটি মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের শতাধিক পরিবার জন্য। রাস্তা নির্মাণের ফলে সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে।
ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নেছার উদ্দিন তালুকদার জানান, হাপানিয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ি (আদম চৌকিদার) নামে পরিচিত শতাধিক পরিবার একটি রাস্তার অভাবে চরম ভোগান্তিতে ছিলো। অতি সম্প্রতি মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রশংসনীয় উদ্যোগের কারনে রাস্তাটি নির্মিত হয়েছে।
সুবিধাভোগী দাদন আলী হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হাওলাদার সহ একাধিক বাসিন্দারা জানান, প্রায় দুইশথ বছর পূর্বে তাদের পূর্বপুরুষরা গ্রামের বিলের মধ্যে বসতি স্থাপন করে বসবাস শুরু করেন। বর্ষার মৌসুমে তাদের যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম ছিলো নৌকা। শুকনো মৌসুমে প্রতিবেশিদের জমির আইল আর বসতঘরের আঙ্গিনার পাশ দিয়ে যাতায়ত করতে হতো। সে সময় পরিবারের সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ওই বাড়িতে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। এই শতাধিক পরিবারের যাতায়তের জন্য দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো একটি মাটির রাস্তা। তারা আরও জানান, বিগত দিনে সরকার এসেছে সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু কেউই রাস্তা নির্মাণ করে দেয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুকে রাস্তাটি নির্মাণ করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। এরপরই তিনি (ইউপি চেয়ারম্যান) রাস্তা নির্মাণ করে আমাদের স্বপ্নটি পূরন করে দিয়েছেন।
ওই গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ সোলায়মান মৃধা জানান, রাস্তার অভাবে চরম দূর্দশার মধ্যে ছিলো তার গ্রামের শতাধিক পরিবার। রাস্তাটি নির্মাণ ব্যয়বহুল হওয়ায় এতোদিন কেউই রাস্তাটি নির্মাণে আগ্রহ দেখায়নি। ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুথর ঐকান্তিক চেষ্টায় রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে। রাস্তাটি নির্মানের জন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইউপি সদস্য সোলায়মান।
এ ব্যাপারে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধরণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু জানান, দুইশথ বছর যাবত গ্রামের মূল সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলো পরিবারগুলো। তাই পরিবারগুলোকে আধুনিক যাতায়ত সুবিধা দেয়ার লক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপিথর অনুপ্রেরণায় কর্মসংস্থান কর্মসূচী প্রকল্প, স্থানীয় যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রম ও গ্রামবাসীর আন্তরিক সহযোগিতায় এক কিলোমিটার মাটির রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়।