বরিশালে মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়াতে বিয়ের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সিদ্দিকুর রহমান ও ছত্তার ঢালী নামে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের আরও ১৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুই পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ঘটনাস্থলেই আওয়ামী লীগের কর্মী সিদ্দিকুর রহমান নিহত হয়।
পরে আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে পাঠানোর পথে ছত্তার ঢালীর মৃত্যু ঘটে। এ বিষয়ে মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে শোলদি গ্রামে বর্তমান ইউপি সদস্য রমিজ আলীর মেয়ের ঘরের এক নাতির বিয়ের আয়োজন চলছিল। রমিজ আলী উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য এবং স্থগিত হওয়া নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী ছিলেন। রমিজ আলী ওই ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম মোল্লার সমর্থক। এ জন্য বিয়ের যাবতীয় আয়োজন ও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম মোল্লার সমর্থকেরাই।
রমিজ আলীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কালাম ব্যাপারী ও সুমন ব্যাপারীর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিয়েবাড়িতে হামলা করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে চলাকালে সিদ্দিকুর রহমানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার পর তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হন আরও চারজন।