তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: বেশ কিছুদিন ধরে হাওরাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি আরো বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। উজানে ভারী বর্ষণে হাওর অধ্যুষিত এলাকায় আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় এসব অঞ্চলের পাকা ধান দ্রুত কেটে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক।
সুরমা নদী ও যাদুকাটা নদীর পানি গতকাল দুপুর পর্যন্ত সমতলে ছিল। কিন্তু বন্যা পূর্বাভাসের ঘোষণার পর সুরমা নদী ও সুনামগঞ্জের ধনু বাউলাই নদী নেত্রকোনা জেলায় কিছু স্থানে বিপদসীমা অতিক্রম করে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া সিলেটে সারিগোয়াইন নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বলে কেন্দ্রের তথ্যে দেখা গেছে। বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কায় সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের কৃষকরা কাঁচা-আধাপাকা ধান কাটা শুরু করেছেন।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসের পর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ধান দ্রুত কেটে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বন্যার ঝুঁকির মধ্যে থাকা বোরো ধান ৮০ শতাংশ পাকলে কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।
আকস্মিক বন্যার ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ধান সংগ্রহ নিরাপদ ও শুকনো জায়গায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পরিপক্ব সব্জি দ্রুত সংগ্রহ করা, নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখা, জমির আইল উঁচু করা, সেচ, সার ও বালাইনাশক দেয়া থেকে বিরত থাকা, পুকুরের চারপাশ উঁচু করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে হাওরের বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কার মধ্যে আজ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চাপতি হাওরে বাঁধ ও ধানখেত পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাকের। সদর উপজেলার জাওয়ার হাওরে আগাম জাত বিনা ধান-১৭ কাটা ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে তার।