তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অন্যের জমি দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হলেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জমির একাংশে জবর দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করেছেন তৈয়বুর রহমান।
দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের বিবেকানন্দ শর্মা’র কাছে থেকে ২০০৯ সালে সাড়ে ৩৩ শতক জায়গা ক্রয় করেন আজিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান (রহমান খান) দুই ভাই টিলা জায়গাটি প্রায় ১৪ বছর থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ করে আসছেন। বিগত প্রায় এক মাস পুর্বে রাতের আধারে তৈয়বুর রহমান সহ ৬ জন উগ্র-উশৃংখল যুবক পেশীশক্তির প্রয়োগ করে জায়গার পুর্বাংশে ৮শতক টিলা রকম ও গাছ কর্তন করে পরিবেশের ভারসাম্যতা নষ্ট করে বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করে তাদের উপস্থিতিতে বাশ-বেতের গৃহ নির্মাণ করেন। বিষয়টি জমির মালিকের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ করায় তাঁরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি-দমকি দেন। এবং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দ্বারা আক্রমণ করে তাকে স্থান ত্যাগে জোরপূর্বক বিতাড়িত করেন। টিলার ৮ শতক জায়গায় দ্রুত পাকা ঘর নির্মাণ করে বেআইনিভাবে দখল স্থাপন করেন তৈয়বুর রহমান।
বিষয়টি জায়াগার মালিক আজিজুর রহমান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে অবগত করেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সালিশ বৈঠকে তৈয়বুর রহমানকে ভূমির দখল ছেড়ে দিতে বলায় তিনি তাদের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দখলকৃত জমি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান।
এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী জায়াগার মালিক আজিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান (রহমান খান) বাদী হয়ে দখলদারি তৈয়বুর রহমান, আব্দুল খালিক, মুহিবুর রহমান, ফয়ছল আহমদ, আব্দুর রহিম, আব্দুস শুকুর ও রেদওয়ান আহমদ আব্বাসকে বিবাদী করে বড়লেখা থানায় অভিযোগ করেন প্রশাসন বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বাদীপক্ষকে তাগিদ দেয়। এতেও বিষয়টি মীমাংসা না হাওয়ায় আজিজুর রহমান আদালতের দারস্থ হন।
পরে মৌলভীবাজার জেলা জজ কোর্টে তিনি বিবাদী ৭ জনের নামে মামলা দয়ের করেন (মামলা নং স্বত্ব ৬০/২০২৩)। এবং এ বিষয়ে বাদী আজিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান (রহমান খান) দুই ভাই আদালতে কমিশন প্রার্থনা করেন।
আজিজুর রহমানের প্রার্থনার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সরেজমিনে মৌলভীবাজার জেলা জজ কোর্টের নির্দেশে যুগ্ম কমিশনার আইনজীবী পাপ্পু ভট্টাচার্য ও আইনজীবী বিকাশ চন্দ দে জায়গার বিষয়বস্তু আমলে নিয়ে আদালতে বিষয়টি উপস্থাপনের কথা বলেন এবং আইনি প্রক্রিয়ায় চলমান রয়েছে এবং তা দ্রুত নিস্পত্তির জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
এদিকে জমি দখলের অভিযোগে অভিযুক্ত তৈয়বুর রহমানের সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঐ সময়ে নানান অভিযোগ করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। কোন প্রকার সদোত্তর পাওয়া যায়নি।