বিশেষ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ ভারত বিমান চলাচল আগামী সপ্তাহে শুরু করতে বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ভারত। সোমবার এক কূটনৈতিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে আনুষ্ঠানিক চিঠি এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
এর আগে ১১ আগস্ট থেকে পূণরায় বিমান চলাচল শুরু করার জন্য ভারতকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। গত বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, ভারতের সঙ্গে ‘এয়ার বাবল’ শুরুর জন্য বাংলাদেশ তিনটি শর্ত দেয়। সেসব শর্তসহ ‘এয়ার বাবল’ চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ভারতের সিভিল অ্যাভিয়েশনের ডিরেক্টর জেনারেলকে চিঠি দেয় বেবিচক। সোমবার সে চিঠির উত্তরে ‘এয়ার বাবল’ শুরুর বিষয়ে সম্মতি দেয় ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা ১১ তারিখ থেকে আমাদের প্রস্তাব ছিল এয়ার বাবল চালুর। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই ফ্লাইট চালু হবে।
সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শর্ত ও ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ অনুযায়ী চলাচল করতে পারবে। একইভাবে ভারতের স্পাইস জেট, ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, গো এয়ার এবং ভিসতারা এয়ার চালাতে পারবে স্পেশাল ফ্লাইট। এ ক্ষেত্রে ছোট বিমান সর্বোচ্চ ১৪০ জন ও বড় বিমান ২০০ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। যাত্রীদের বসানোর ক্ষেত্রে নির্ধারিত সিটের পাশে একটি আসন ফাঁকা রাখতে হবে।
এ ছাড়া যারা ভারত থেকে বাংলাদেশে আসবেন তারা করোনার টিকা নেওয়া থাকলে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। আর যারা টিকা গ্রহণ করেননি তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বিমান চলাচল করবে বলেও আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে মেডিকেলসহ সব ধরনের ভিসা দিতে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন প্রস্তুত বলে জানা গেছে। ভারতের তরফ থেকে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ বা শর্ত দেওয়া হয়নি। তবে গতকাল বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখনই পর্যটকদের জন্য ভারতের দ্বার উন্মুক্ত হচ্ছে না। প্রথম পর্যায়ে এখন শুধু মেডিকেল, স্টুডেন্ট, বিজনেস ও কূটনৈতিক ভিসাধারীরা ‘এয়ার বাবল’সুবিধা নিয়ে ভারত যেতে পারবেন।
এর আগে গত ১৪ জুলাই ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে ‘এয়ার বাবল’চালুর অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিটি সিভিল অ্যাভিয়েশনে গেলে তারা সুপারিশ পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।