![Screenshot_2020-05-27 photograph-abhijit-aircraft-photographed-airport-bhatlekar-international_cc3b9a54-7011-11ea-ab2c-5940[...]](https://banglaexpressonline.com/wp-content/uploads/2020/05/Screenshot_2020-05-27-photograph-abhijit-aircraft-photographed-airport-bhatlekar-international_cc3b9a54-7011-11ea-ab2c-5940....png)
লকডাউনের পর দ্বিতীয় দিনের বিমানেই ধরা পড়ল করোনা আক্রান্ত। কোয়ারেন্টাইনে রাখা হল বিমানের সব যাত্রীকে।মঙ্গলবার দিল্লি থেকে লুধিয়ানাগামী একটি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির হদিস মিলেছে। আক্রান্ত ব্যক্তির অ্যালায়েন্স এয়ারের সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত। তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ায় বিমানের সমস্ত যাত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বুধবার এয়ার ইন্ডিয়ার তরফ ধেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
লকডাউনের চতুর্থ দফা যখন শেষের পথে, তখনও দেশে একের পর এক সংক্রমণের খবর আসছে। কিন্তু লকডাউনে শিথিলতা আসছে ক্রমশ। একটু একটু করে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। সোমবার থেকে তাই বিমান পরিষেবা চালু করা হয়েছে। প্রথম দিনই ৩৯০০০ যাত্রী সফর করেছেন বিমানে।
প্রথম দিনে ইন্ডিগো বিমানে এক যাত্রীর শরীরে করোনা ধরা পড়ে। ২৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই বিমানের ৯০ জন যাত্রীর করোনা পরীক্ষা হয়েছে, প্রত্যেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছে। প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
ওই বিমানটিকে ১৪ দিন পর ওড়ানো হবে। এয়ারক্রাফট ডিস-ইনফেক্ট করে তবেই ওড়ানো হবে। এয়ারলাইনসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আক্রান্ত ওই যাত্রীর ফেস মাস্ক, গ্লাভস ও ফেস শিল্ড সবই ছিল। তাছাড়া ওই ব্যক্তির পাশে কেউ বসেননি। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমই রয়েছে।
কোয়াম্বাটুরে পৌঁছতেই ওই বিমানের সব যাত্রীর করোনা পরীক্ষা হয়। তখনই ওই যাত্রী ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা যায়।
এদিকে, সংক্রমণ প্রতিদিন নতুন করে শুধুই বেড়ে চলেছে। মঙ্গলবার সকালে নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮০ জন।
জানা গিয়েছে, সোমবার সারাদিনে ৬,৫৩৫টি নতুন সংক্রমণ হয়েছে যা একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের কিছুটা কম। মঙ্গলবার নতুন করে ১৪৬ জনের মৃত্যুতে মোট মৃতের সংখ্যা ৪,১৬৭ জন।
মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের তরফের তথ্যে জানা গিয়েছে, ভারতে মোট সংক্রমিত ১,৪৫,৩৮০ জন। দেশে বর্তমানে করোনায় সক্রিয় ঘটনা ৮০,৭২২। এছাড়া ৬০,৪৯০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।