চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে দোকান কর্মচারী মোহাম্মদ আবদুল গনি প্রকাশ রকি খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও নিহতের মোবাইলও উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দুজন হলেন- সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বালার পাড়া এলাকার মৃত খুলু মিয়ার ছেলে মো. শফিকুল আলম (২১) এবং একই এলাকার মো. শাহ আলমের ছেলে মো. সোহেল।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত রকি সাতকানিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গুনু মিয়ার ছেলে মনজুর আলমের ফার্নিচারের দোকানে কর্মচারীর কাজ করতো। কাজ শেষে রাতের অধিকাংশ সময়ে সে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বারদোনা এলাকায় বসে ফ্রি-ফায়ার গেম খেলত।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেও তিন চারজনকে সঙ্গে নিয়ে রেললাইনে বসে গেম খেলছিল। খেলা নিয়ে তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তারা রকিকে ছুরিকাঘাত করে তার মোবাইলটি সঙ্গে করে নিয়ে যায়। রকির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ২৮ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক সোহেল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে ও এ ঘটনায় শফিকসহ আরও একজন যুক্ত থাকার কথা জানায়। তার স্বীকারোক্তিতে শনিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে থানার এসআই মুকিবুল হোসেন বারদোনা থেকে শফিককে গ্রেফতার করে। তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও নিহতের খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করেন এসআই।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা আহাম্মদ হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশি তদন্তের পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যজনকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।