রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসেবে ফ্রান্সের কাছ থেকে ৮০টি অত্যাধুনিক রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। কয়েক বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তি আমিরাতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অস্ত্র চুক্তি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০০৪ সালে রাফায়েল যুদ্ধবিমান বাজারে আনার পর ফ্রান্সের জন্যও এটি সবচেয়ে বড় বিক্রয়াদেশ। গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চুক্তি অনুযায়ী আমিরাতকে ৮০টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান, ১২টি কারাকাল হেলিকপ্টার এবং প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করবে ফ্রান্স। চুক্তিটি ১৫ বিলিয়ন ডলারের বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমিরাতে ফ্রান্সের তিনটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে অনেক আগে থেকেই।
এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারিত্বের ফলাফল হিসেবে আখ্যায়িত করে একটি বিবৃতি দিয়েছে ফ্রান্স। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই চুক্তি দুই দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের পথকে সুসংহত করবে।
উপসাগরীয় সফরের প্রথম দিনে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোন আলোচনায় বসার পরই চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন রাফায়েল যুদ্ধবিমানের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডাসাল্ট এভিয়েশনের মহাপরিচালক এরিক ট্র্যাপিয়ার। ধারণা করা হচ্ছে, উপসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিদ্বন্দ্বী কাতারের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই সামরিক চুক্তিটি করল আরব আমিরাত। এর আগে কাতার ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনে।
উপসাগরীয় অঞ্চলে দুই দিনের সফরে এসেছেন মাক্রোন। সফরে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। বৈঠকে দুই দেশের বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। এর আগে দুবাই এক্সপো ২০২০ সম্মেলনের সাইড লাইনে সামরিক খাতে চুক্তি স্বাক্ষর করেন মাক্রোন এবং মোহাম্মদ বিন জায়েদ।
সূত্র : রয়র্টাস