সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগিনা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু ও স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সদস্য ও জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম রাহাতকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন রাসেল নামে মির্জা কাদেরের এক সমর্থক।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহীদ উল্যাহ রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল তার ফেসবুক লাইভে এসে এ হত্যার হুমকি দেয়।
রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী ক্যাডারদের মধ্যে অন্যতম। চলতি বছরের মে মাসে বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের করালিয়াতে অস্ত্র হাতে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া ও গুলি করছেন এমন একটি ভিডিওচিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ২০-২২টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের লাইভ ভিডিওটি প্রচার করেন শহীদ উল্যাহ রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল। লাইভে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে কেচ্ছা রাসেল বলেন, আমি বলতে চাই মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা আমেরিকায়। তিনি কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত নয়। মেয়রের কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে পৌরসভাতে অবস্থান করছেন। আজকে যারা আবার ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি করতেছে, এটার খেসারত কত ভয়ানক হবে সেটা কল্পনাও করতে পারবে না।
কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মঞ্জুকে লক্ষ্য করে শহীদ উল্যাহ রাসেল বলেন- তুই পরিস্থিতি তৈরি কর, তোকে যেকোনো মুহূর্তে বাসা থেকে ধরে নিয়ে আসব, ওপেন ডিক্লেয়ার দিলাম। তুই এর জন্য প্রস্তুত থাক। কয়টারে গুলি করবি, তোর কাছে কত অস্ত্র আছে দেখা যাবে। বাংলার মানুষ দেখতে চায় তুই কত মানুষ হত্যা করতে পারস। ছাত্রলীগ নেতা রাহীম, শাকিল ও যুবলীগ নেতা রাজীবকে আজরাইল মাফ করলেও আমরা মাফ করব না।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেন, বসুরহাট পৌরসভার একটি কক্ষ থেকে লাইভে এসে অস্ত্রধারী কেচ্ছা রাসেল বিশ্রী ভাষায় আমাকে ও আমার খালাতো ভাই রাহাতকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি সেতুমন্ত্রীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ অস্ত্রধারীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও হত্যার হুমকির ঘটনায় তাকে দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।