নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। প্রথম বিয়ের পর পারিবারিক কলহে সে সংসার বেশি দিন টিকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এরপর ফেসবুকে পরিচয় হয় একই কলেজের মামুন নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রণয় অতঃপর পরিণয় হয় তাদের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে ২০২১ সালের ২৪ জুন পরিচয় হয় তাদের। পরিচয়ের ৬ মাস পর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন তারা। সপ্তাহ খানেক আগে তাদের বিয়ের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘায় শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহারের প্রথম বিয়ে হয়েছিল। সেখানে এক সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে বেশি দিন টিকেনি সে সংসার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এরই মাঝে ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক কলেজছাত্র মামুনের সঙ্গে। মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি।
খাইরুন নাহার বলেন, প্রথম বিয়ে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। আত্মহত্যা করারও সিদ্ধান্ত নেই। সে সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সঙ্গে। মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। পরে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। মামুনের পরিবার মেনে নিলেও আমার পরিবার মেনে নেয়নি।
মামুন বলেন, মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। কে কি বলল সেগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেদের মতো সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছি। সকলের কাছে দোয়া চাই।
খুবজীপুর মোজাম্মেল হক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবু সাইদ বলেন, খায়রুন নাহার আমার প্রতিষ্ঠানের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। রোববার ফেসবুকের এই খবর দেখে প্রথমে ঘটনা জানলাম। ওই শিক্ষিকা বছর খানেক আগে বলেছিলেন, তিনি নাটোর শহরে বাসা নেবেন। এতটুকুই জানতাম।