ফেসবুকে পরিচয়ের পর মুহুরী বন্ধুর সহযোগিতায় আইনজীবীর চেম্বারে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ আইনজীবীর মুহুরী মুন্না (২৩) ও ধর্ষক দিদারকে গ্রেফতার করেছে।
তরুণীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত দিদার চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার চর ভৈরবী গ্রামের কালু সৈয়ালের ছেলে ও মুহুরী মুন্না ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকার মৃত শরীফ সরদারের ছেলে। এদের মধ্যে দিদারের সঙ্গে ফতুল্লার তল্লা এলাকার এক তরুণীর ফেসবুকে পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
এতে ১৫ আগস্ট শনিবার দুপুরে মোবাইলে ডেকে ফতুল্লার চানমারী এলাকায় অবস্থিত জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পেছনে এসএম করিমের দ্বিতীয় তলায় আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহর চেম্বারে ডেকে নেন দিদার।
এরপর মুহুরী মুন্নার সহযোগিতায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিদার ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরে তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই চেম্বার থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, আইনজীবীর সহকারীর (মুহুরী) সহযোগিতায় চেম্বারে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহ বলেন, গ্রেফতারকৃত মুন্না তার সহকারী হিসেবে কাজ করত সত্যি, তবে এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।