আবারো চরম ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে মিয়ানমার। প্রায় দু’বছর ধরে বাংলাদেশের সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ‘ব্লক’ করে রেখেছে দেশটি। এর মধ্যে আছে বঙ্গভবন থেকে গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও।
প্রতিবেশির এমন আচরণকে দুঃখজনক বলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি কূটনৈতিক শিষ্টাচার এবং ভিয়েনা কনভেশনের সাথে সাংঘর্ষিক মন্তব্য করে ঢাকাকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গার চাপে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাসন নিয়ে একাধিকবার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেও তা হয়নি মিয়ানমারের কারণেই। এমন অবস্থায় দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগের পাশাপাশি চলছে বহুপাক্ষিক নানা প্রচেষ্টা।
এমন বাস্তবতায় মিয়ানমার থেকে দেখা যাচ্ছে না বাংলাদেশ সরকারের বেশিরভাগ সাইট। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর- কোন সাইটেই ঢোকা যাচ্ছে না। পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস ও কূটনৈতিক যোগাযোগ থাকলেও মিয়ানমার থেকে দেখা যায় না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন তথ্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সব ঝামেলার সৃষ্টি হয় অজ্ঞতা ও হিংসার কারণে। আমরা তো তাদের কোন সাইট ব্লক করে রাখিনি। তবে তারা কেন এটা করছে আমাদের সাথে। বাংলাদেশে তো তাদের সবকিছুই খোলা আছে।
এরকম ঘটনার প্রভাব বহুমাত্রিক বলে মনে করেন সাবেক কূটনীতিকরা। এর মাধ্যমে মিয়ানমার বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় স্থানীয়ভাবে সফল হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবীর।
ব্যারিস্টার মিতি সানজানা জানান, যে আইনের বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন সাইট বন্ধ রেখেছে মিয়ানমার, তা মানবাধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক। মিয়ানমার যে দাবি করছে সাইটে ফেক কন্টেন্ট রয়েছে তার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।