ফেনী-কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকার পদুয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রবাসীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মীর হোসেন সবুজের বিরুদ্ধে। হামলাকারীরা প্রবাসী হেলালের গলায় ধারালো চুরি দিয়ে গুরুতর জখম করে।
বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মীর হোসেন সবুজ ও তার ভাই মনির হোসেনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের পাশে পদুয়া জায়গা নিয়ে আলকরা ইউনিয়নে শিলরী গ্রামে এবায়দুল হক ও তার ভাই আব্দুল মমিনের মধ্যে মহাসড়কের পাশে পদুয়া জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। দুপুরে এবায়দুল হক স্থানীয় মেম্বার মাইকে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব ভূঞা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বিষয়টি মীমাংসা করতে সরেজমিন ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময় উভয়পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। একপর্যায়ে জমি বিরোধ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মো. হেলাল হোসেনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। ওই সময় মীর হোসেন সবুজ ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হেলালের গলার বাম পাশে গুরুতর জখম করে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পালিয়ে যায়। তার গলা থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে হেলালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম তৈমুর মাইকেল বলেন, জমি নিয়ে বিরোধে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।