ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না সৌদি আরব। রোববার সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। তিনি বলেছেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হলে অবশ্যই ফিলিস্তিন ইস্যুর সমাধান করতে হবে। উল্লেখ্য, ইসরাইলের নৃশংস হামলায় গাজায় যেভাবে নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে তাতে বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে মুসলিমদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বার বার শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যা সমাধান করার আহ্বান জানানো হয়েছে, হচ্ছে। যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। মানবিক ত্রাণ পৌঁছাতে দেয়ার অনুমতি দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো গাজায় গণহত্যায় উদ্বেগ জানিয়েছে। গণহত্যার অভিযোগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে থেকেই, তবে নতুন করে বেসামরিক মানুষ হত্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারাও এখন বলছে, ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান না হলে টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে না।
এমন প্রেক্ষাপটে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিএনএনকে বলেছেন, একটি মাত্র পথ খোলা আছে। সেপথেই আমরা সুবিধা পেতে চাই। আমরা চাই স্থিতিশীলতা। শুধু স্থিতিশীলতা আনতে পারে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বিষয়ক সমাধানের মধ্য দিয়ে।
তিনি আরও বলেন, সত্যিকার একটি শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য বিশ্বাসযোগ্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা একটি অপরিহার্য্য প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। শুধু সৌদি আরবই নয়, আরব দেশগুলোও এ নিয়ে আলোচনা করতে চাই। আমরা আশা করি ইসরাইলও তার সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এগিয়ে আসবে।
গত কয়েক সপ্তাহে লোহিত সাগরে জাহাজে এবং এর আশেপাশে হুতিদের আক্রমণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সৌদি আরব সামুদ্রিক চলাচলের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের উত্তেজনার প্রশমন হোক তাও চায়। সৌদি এ মন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি বেসামরিক সাধারণ মানুষকে হত্যার বিষয়টি সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের মধ্যে আছে। তিনি বলেন, আমরা দেখছি, গাজাকে ভেঙেচুরে দিচ্ছে ইসরাইল। গাজার বেসামরিক মানুষজনকে শেষ করে দিচ্ছে। এটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়, অগ্রহণযোগ্য। এই হামলা বন্ধ করতে হবে।