বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ খেলতে গিয়ে চোটে পড়েছিলেন মাশুক মিয়া জনি। এজন্য সব মিলিয়ে ফিফা থেকে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন এই মিডফিল্ডার। আজ (মঙ্গলবার) তিনি পেয়েছেন শেষ কিস্তির টাকা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছিল বাংলাদেশের খেলা। ওই ম্যাচে খেলার কথা ছিল জনিও, কিন্তু অনুশীলনের সময় তার লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। আফগানিস্তান ম্যাচ তো বটেই, অস্ত্রোপচারের কারণে বসুন্ধরা কিংসের এই মিডফিল্ডার মাঠের বাইরে ছিটকে যান লম্বা সময়ের জন্য।
কঠিন এই সময়ে ‘ফিফা ক্লাব প্রটেকশন স্কিম’-এর মাধ্যমে জনির পাশে দাঁড়ায় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম দফায় ফিফা থেকে ৪ লাখ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। আবারও পেলেন ক্ষতিপূরণ, এবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তিতে (শেষ কিস্তি) জনি পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ফিফা থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে জনি পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা।
করোনাকালে মাঠ ফিরতে কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়া জনি ফিফার ক্ষতিপূরণ পেয়ে স্বভাবতই খুশি। এজন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাফুফে ও তার বর্তমান ক্লাব বসুন্ধরাকে, ‘আমি জাতীয় দলে খেলার সময় চোট পাই, এরপর পায়ে অপারেশন করতে হয়। বাফুফে ও বসুন্ধরা ক্লাবের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পেয়েছি। তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
এ প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘জনি চোট পাওয়ার পর থেকে তার ক্লাবের মাধ্যমে ফিফার কাছে আবেদন করা হয়। সেই অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের টাকা এসেছে। এরই মধ্যে জনির ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়েছে।’