দেশের ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসার গভর্নিং বডিতে গ্র্যাজুয়েট (ডিগ্রি পাস) ছাড়া কোনও ব্যক্তি সভাপতি হতে পারবে না বলে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) মামলার রিটকারী আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘গত ১৯ আগস্ট বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের স্বাক্ষরের পর ১৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশিত হয়।’
রায়ে বলা হয়েছে, কোনও ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হতে হলে সেই ব্যক্তিকে ফাজিল বা ডিগ্রি পাস হতে হবে এবং কোনও কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হতে গেলে সেই ব্যক্তিকে কামিল বা মাস্টার্স পাস হতে হবে।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি গ্র্যাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া দেশের কোনও ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হতে পারবে না বলে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত রায়ে আরও বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রথমে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে স্নাতক ডিগ্রিধারী তিন জন ব্যক্তির নাম পাঠাবেন। তিন জনের মধ্য থেকে ভিসি একজনকে সভাপতি পদে মনোনীত করবেন। কিন্তু ডিও লেটারে কেউ সভাপতি হলে সেটা বাতিল হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
একইসঙ্গে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে এমপির ডিও লেটারধারী মো. বেলাল হোসাইন বাবলুকে মনোয়ন দেওয়ায় তার সভাপতি পদ বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে এমপির ডিও লেটারধারী মো. বেলাল হোসাইন বাবলুকে মনোনয়ন দেয় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তার নামই সুপারিশ করে প্রতিষ্ঠান প্রধান ভিসির কাছে পাঠিয়েছিলেন। পরে বেলাল হোসাইন বাবুলকে সভাপতি পদে মনোয়ন দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন ওই মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য আরিফুল ইসলাম।
২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেন। সেই রুলের শুনানি শেষে এ বছরের ২১ জানুয়ারি হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন।