টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি আইসিসি। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগিতাটি ঝুলে যাওয়ায় আইপিএল নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। কারণ বলা হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে ওই সময়ে আইপিএল আয়োজন করতে চায় বিসিসিআই। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির চিঠিতে অন্য সুর। যখনই হোক, এ বছর তারা আইপিএল আয়োজন করবে, আর সেটা এমনকি ফাঁকা স্টেডিয়ামে হলেও!
সৌরভ তার চিঠিতে জানিয়েছেন, তারা ২০২০ আইপিএল আয়োজন করতে সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করছেন। এ নিয়ে আলোচনা চলছে বিসিসিআইয়ে, যেখানে দর্শকশূন্য মাঠে বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা আয়োজনের বিষয়টিও রয়েছে।
আর্থিক অনেক বিষয় জড়িত রয়েছে আইপিএলের সঙ্গে। প্রতিযোগিতাটি না হলে বড় ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিসিসিআইয়ের। সেসব দিক বিবেচনায় নিয়ে এ বছরই আইপিএল আয়োজনের ‘সম্ভাব্য সব বিকল্প’ মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে সব রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়ে দিয়েছেন সৌরভ। বিসিসিআই সভাপতি জানিয়েছেন, এ বছরই তারা আইপিএল আয়োজন করতে চান এবং সেটা ফাঁকা স্টেডিয়ামে হলেও, ‘এ বছর আইপিএলের মাঠে গড়ানো নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব বিকল্প নিয়ে কাজ করছে বিসিসিআই, এবং এমনকি সেটা ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলার কথা মাথায় রেখে। এ বছর আইপিএল আয়োজন দেখতে উন্মুখ হয়ে আছে ভক্ত, ফ্র্যাঞ্চাইজি, সম্প্রচারকারী, স্পন্সর ও অন্য শেয়ার হোল্ডাররা।’
২০২০ সালের আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৯ মার্চ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে শুরুতে প্রতিযোগিতাটি ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। এরপরও ভারতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এখন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাটি।
করোনার কারণে মাঠে ক্রিকেট নেই। সে কারণে জমজমাট টি-টোয়েন্টির লড়াই দেখতে এবার আরও উন্মুখ হয়ে আছেন ক্রিকেট ভক্তরা। ক্রিকেটাররা যারা আইপিএলে এবার খেলবেন, তারাও ফাঁকা স্টেডিয়ামে হলেও খেলতে চাইছেন। সেই দিকগুলোও নজরে রাখছেন সৌরভ, ‘সম্প্রতি ভারত ও অন্য দেশের অনেক খেলোয়াড় এ বছরের আইপিলের অংশ হতে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরা আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে বিসিসিআই এই প্রতিযোগিতা শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে।’