আজিজুর রহমান দুলালঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রফিকুল হক এর কাছে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দেন। জাতীয় দৈনিক ঢাকা টাইমস ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক দোলন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি। ফরিদপুর অঞ্চলের মানবহিতৈষী পুরুষ প্রয়াত কাঞ্চন মুন্সীর সুযোগ্য উত্তরসুরী আরিফুর রহমান দোলন।
অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে দেশজুড়ে সুখ্যাত দোলন ব্যবসায় উদ্যোক্তা হিসেবেও সফল। গত দুই দশক ধরে ফরিদপুর-১ আসনের তিন উপজেলায় নিরলসভাবে নানামুখী উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। গত রবিবার গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভা থেকে আরিফুর রহমান দোলন ফেসবুকে লিখেন, ‘ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াইয়ের অনুমতি দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। কৃতজ্ঞতা। প্রধানমন্ত্রী বললেন, স্বতন্ত্র দাঁড়াতে কোনো অসুবিধা নেই। তৈরি থাকুন ফরিদপুর-১ আসনের জনগণ। আপনারাই শক্তি।’ দোলন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করবেন। ফরিদপুর-১ আসনের তিনটি উপজেলা আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীতে দোলন নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদন করেছেন তরুণ এ রাজনীতিক। দোলনের কর্মী-সমর্থকরা মনে করেন, ফরিদপুর-১ নির্বাচনি এলাকায় মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পেয়েছে দোলনকে। বিশেষ করে করোনা মহামারিসহ নানা দুর্যোগে স্থানীয় এমপিকে পাশে পাননি তারা। তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে দোলনকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে শেখ হাসিনাকে উপহার দেবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশ মোতাবেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ফরিদপুর-১ আসনের জনপ্রিয় নেতা দোলন বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসায় বিপুল ভোটের মধ্য দিয়ে বিজয়ী হয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই আসনটি উপহার দিতে পারবো।’ আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘মহান আল্লাহ সহায় থাকলে অবশ্যই সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং আমি বিপুল ভোটের মধ্য দিয়ে বিজয়ী হতে পারবো। ফরিদপুর-১ আসনের সর্বসাধারণ আমার কষ্টের প্রতিদান দেবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।’ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
এ ছাড়াও এ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মনোনয়ন ফরম জমা দেন আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন(বিএনএম) দলের মনোনয়ন জমা দেন শাহ মো: আবু জাফর, সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন ফরম জমা দেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক,বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি দলের মনোনয়ন জমা দেন আকতারুজ্জামান ও বাংলাদেশ সুর্প্রীম পার্টি দলের মনোনয়ন জমা দেন কে এম নুর ইসলাম। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। আর প্রচার শেষ করতে হবে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে। আর আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।