ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ সদর উপজেলার শোভারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রেলের জায়গা দখল করে মাদ্রাসা স্থাপন করা হবে বলে ঘর তৈরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রে জানা যায়, শোভারামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উওর পাশে রেলের সরকারি জায়গা দখল করে একই এলাকার আবুল কালাম আজাদ ঘরটি তৈরি করছে।
প্রতিবেদক স্খানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে অর্থ্যাৎ ২০-০৩-২০১২ তাং তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সদর ড. কে,এম, কামরুজ্জামান সেলিম সাক্ষরিত যার স্মারক নং-০৫.৪৭০.০৩১.০০.০০.২৪.২০১১-২৯৫ তে জানানো হয় যে শোভারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উওর পাশের সরকারি জায়গায় সম্পূর্ন অবৈধ ঘর নির্মান করার জন্য বেশ কিছুটা কাজ সম্পূন্ন হয়েছে মর্মে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয় এবং তাহার বাস্তব সত্যতা পাওয়া যায়। উল্লেখিত স্মারক অনুযায়ি ৭ দিনের মধ্যে উক্ত স্থাপনা নিজ খরচে এবং নিজ দায়িত্বে অপসারন করতে বলা হয়। সরকারের দেয়া নির্দেশনা উপেক্ষা করে, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুিল দেখিয়ে গত ১৭-০৫-২০২২ তাং পুনরায় স্থাপনাটি তৈরি করছে, একই এলাকার আবুল কালাম ্আজাদ(সচিব তালমা ইউনিয়ন পরিষদ)।
স্থানয়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শোভারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ঘেসে সরকারি জায়গায় যে অবৈধ স্থাপনাটি তৈরি হচ্ছে এটি মটেও ঠিক নয়, তারা আরও জানান মসজিদ মাদ্রাসা আল্লাহর ঘর, তৈরি করাটাই স্বাভাবিক তবে সরকারি জায়গায় এবং কমলমোতি শিশুদের স্কুল ও মাঠ ঘেসে স্থাপনটি তৈরি করা ঠিক হবে না বলে তাহারা মনে করেন । এ বিষয়ে, শোভারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন, সহকারি শিক্ষক সামসুন নাহার, মারুফা রফ, রওসন আরা মীম, জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, দীর্ঘ দিনের এই স্কুলটিতে সদর উপজেলা জনস্কুল হিসাবে পরিচিত, এই স্কুলে সরকারি এবং জাতীয় সকল ধরনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তাই স্কুলের মাঠ ঘেসে সরকারি জায়গায় যে স্থাপনাটি তৈরি হতে যাচ্ছে এতে আমাদের চাইতে ওই প্রতিষ্ঠানের অসুবিধা বেশি হবে, কারন বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে ক্রিয়া প্রতিযোগিতায় ও জাতীয় অনুষ্ঠানে যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, হাডুডু সহ বিভিন্ন খেলায় মাইক ও সাউন্ড বক্স চলা কালিন অবস্থায় মাদ্রাসারমত একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটবে বলে আমরা মনে করছি। উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে উক্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমেটি সভাপতি আসমা খানম ও সহ-সভাপতি শফি খানের সাথে কথা হলে তারা জানান দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে ওই অবৈধ স্থাপনাটি উপজেলা প্রশাসন বন্ধ করে দেয়, কিন্তু হঠাৎ জানিনা কিভাবে স্থাপনাটি তৈরি করছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি দ্রুত অবৈধ স্থাপনাটি বন্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্থাপনাটি যদি সরকারি জায়গায় তৈরি করা হয়ে থাকে , তাহলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযুক্ত ব্যাক্তি আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা হলে, তিনি ঘর নির্মান করার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান,(লিজ নিয়ে) এটির নির্মান কাজ শুরু করেছি, তবে কনো প্রমান পত্র দেখাতে পারেনি।