ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ চরভদ্রাসনে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ঘূর্নিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে গাছপালা বাড়ীঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে। সোমবার রাত হতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে চরভদ্রাসন উপজেলা। ঝড় পরবর্তী রেষ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার বেলা এগারোটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিএস ডাঙ্গী গ্রামে দেখা যায় একটি চারচালা টিনের ঘরের উপর বড় আকৃতির একটি চাম্বল গাছ পরেছে। অল্পতে রক্ষা পেয়েছে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ তার ছোট বোন। ওই বাড়ীর মালিক সেলিম মোল্যা (৪৩) বলেন, ঝড়ের সময় তার দুই মেয়ে ওই ঘরে অবস্থান করছিল। রাত আটটার দিকে বাতাসের গতি বাড়রেলে প্রথমে চাম্বল গাছের একটি মারা ডাল পরে ওই ঘরের উপর। পরে গোড়া হতে উঠে গাছটি ঘরের উপর পরে। দরজার সোজা টিন ফাঁকা করে তার মেয়েদের উদ্ধার করেন।
গাজীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইয়াকুব আলী বলেন গাজীরটেকের ফকিরডাঙ্গী গ্রামে জাহাঙ্গীর নামক এক ব্যক্তির দুটি ঘর গাছ চাপা পরেছে। তবে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। চর হরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বলেন তার ইউনিয়নের অধিকাংশ কলাবাগান, ভূট্টাক্ষেত সহ প্রচুর গাছপালা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া ইন্তাজ মোল্যার ডাঙ্গী গ্রামে দুটি বসত ঘরের উপর গাছ পরলেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা কৃষি দপ্তর হতে পাওয়া তথ্য মতে, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আবাদী ফসল সরিষা নয় হেক্টর, খেসারী এগারো হেক্টর, ভূট্টা পনেরো হেক্টর,শাকসব্জি বার হেক্টর,মুগ বিশ হেক্টর,মাসকালাই তিনশত হেক্টর, বোনা আমন তিনশত পঁচিশ হেক্টর, মুরিকাটা পিয়াজ এক হেক্টর ঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে। দুই থেকে তিনদিন পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানা যাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা কবির ত্রাপা বলেন, ঘূর্নিঝড় পরবর্তী ক্ষতির বিষয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করছেন। অতিদ্রুততম সময়ে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে তাদের সহায়তা প্রদান করা হবে।