ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সদরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য এখলাস ফকির (৪৫)। তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদপুরের বিএসএমএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রিপোর্ট লেখার সময় হাসপাতালের ওটিতে তার অস্ত্রোপচার চলছিলো। সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে নগদ কয়েক লাখ টাকা লুট করে এবং তার ব্যবহৃত একটি প্রিমিও প্রাইভেট কার ভাংচুর করে। এছাড়া তার নিকট থেকে মোবাইল ফোন সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়া হয় অভিযোগ করেন তার স্বজনরা।
হাসপাতালের ওটিতে প্রবেশের জন্য ট্রলিতে অপেক্ষারত আহত এখলাস ফকির সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবিতে একটি বিয়ে বাড়ির দাওয়াতে অংশ নিতে যান। সেখানে হামলাকারী বাবুল ফকির ও তার দলবলকে দেখতে পেয়ে তিনি বিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর যাত্রবাড়ীর এক লোক তার গতিরোধ করে। তিনি তার হাতে পায়ে ধরে গাড়িতে উঠে চলে আসার সময় হামলাকারীরা তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাতে, মাথা ও বুকে পিঠে সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে নগদ টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেয়। তার গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান ওরফে তিতাশের সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন ফকিরের বিরোধ চলছিল। এনিয়ে দীর্ঘদিন দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে।
হাসপাতালে উপস্থিত কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাস অভিযোগ করেন, গত ইউপি নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ বিল্লাল ফকির পরাজিত হওয়ার পর থেকে তার ভাই মিঠু ফকির, গিয়াস, বাবলু ফকির, শুভ ফকির, ইমারত মুন্সি, জহিরুল মুন্সি নেতৃত্বে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। তবে এ ব্যাপারে বিল্লাল ফকিরের বক্তব্য জানা যায়নি।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হেলালউদ্দিন ভুঁইয়া সন্ত্রাসী হামলায় এখলাস ফকিরের আহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি এ ঘটনায়।