ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: জাতীয় সম্পদ জাটকা ইলিশ রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সরকারি প্রথা চালু করলেও কিছু অস্বাধু ব্যবসায়ীর কারনে এই মাছ দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাটকা মাছ রক্ষার্তে চলে নানা অভিযান।
প্রতিবছর অসংখ্য জেলেকে জেল জরিমানা করা হয়ে থাকে। কিন্তু তারপরেও এই অস্বাধূ ব্যবসায়ীগণ নিজেদের ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য শত শত মন জাটকা নিধন করে চলেছে। সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে জাটকা মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফরিদপুরে ঐতিহ্যবাহী হাজি শরিয়াতুল্লাহ বাজার এর মাছ ব্যবসায়ী মজিবর দত্ত এর ঘরে ৩টি ড্রামে থাকা প্রায় ৩ শত কেজি জাটকা জব্দ করে বিজ্ঞ নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট এ্যাসিল্যান্ড আমিনুল ইসলাম। ৬ এপ্রিল মোবাইলকোর্ট পরিচালোনা করে মাছ ব্যবসায়ী মজিবর দত্ত এর ঘর থেকে এ জাটকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও গত ৫ই এপ্রিল শহরের রঘুনন্দুনপুর বাজারে অভিযান পরিচালোনা কালে ৭টি ড্রামে থাকা প্রায় ৭০০ কেজি জাটকা জব্দ করে এ্যাসিলেন্ড আমিনুল ইসলাম। এ বিষয়ে হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজার এর একাধীক মাছ ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মুুজিবর দত্ত দীর্ঘ দিন ধরে অসৎ পথে ব্যবসা পরিচালানা করে আসছে। বর্তমানে জাটকা ধরা সম্পুর্ন বেআইনি। কিন্তু এই সরকারি বিধি অমান্য করে মাছ ব্যবসায়ী মুজিবর দত্ত ৩টি ড্রামে করে প্রায় ৩ মন জাটকা বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালোনা করে উক্ত জব্দকৃত জাটকা মাদ্রাসার এতিমদের মাঝে বন্টন করে দেয়। উল্লেখিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেন হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারের সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম মোল্লা, কোষাধাক্ষ্য খায়রুজ্জামান লাবলু, মাছ ব্যাবসায়ী এমএম মুছা, নুর মোহাম্মদ, সুমন, রমজান, কাদের শেখ, ফনি বিশ্বাস, লক্ষন দাস, বাবুল বিশ্বাস, নিখিল চন্দ্রসহ প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী। এই মাছ জব্দর বিষয়ে সদর এ্যাসিল্যান্ড আমিনুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, দুই দফায় প্রায় ১ হাজার কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়, স্পটে কাউকে পাওয়া যায়নি। জব্দকৃত মাছ মাদ্রাসায় এতিমদের মাঝে বন্টন করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তের বিষয়ে বাজারের পক্ষ হতে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এছাড়াও নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুজিবর দত্তের সিংপাড়া এলাকার একাধীক ব্যাক্তিবর্গ জানান হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারে শুধু অবৈধ মাছের ব্যবসাই নয়, তিনি রমরমা মাদকের ব্যবসা করে দেশের যুবসমাজকে ধংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এই মাছের চালানের সাথেই হয়ত বড় বড় মাদকের চালান এনে রমরমা ব্যবসা পরিচালোনা করে আসছে। এলাকার কেউ মুখ খুললে তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় পরতে হয় বলে অনেকেই জানান। এলাকাবাসীর দাবি এই অপকর্মের সেবক মজিবর দত্তকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেওয়া হোক। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুজবরের দোকান বন্ধ থাকায় তার বাড়িতে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।