ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নে জমি সংক্রান্তের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৯ জন রক্তাত্ব জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, ইউনিয়নের রামখন্ড রনকাইল এলাকার আব্দুল সামাদ মোল্লা, জামাল মোল্লা, হুমায়ন তালুকদার, বিল্লাল শরীফ, জাহিদ শেখ, আকিজ মোল্লা, আয়নাল ফকির, মিন্টু খান, তৈয়ব আলীকে জমি সংক্রান্তের জের ধরে একই এলাকার প্রতিপক্ষ ফজলু কাজী, আজম কাজী, ইব্রাহীম কাজী, নুরু কাজী, কামাল খা, মোশারফ হোসেন, মুরাদ, বদরুর জামান বতুসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জন এসে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারত্বক জখম করে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, একটি জমি সংক্রান্তের জের ধরে দু পক্ষের সাথে বাকবিতন্ডা চলে আসছিল। এরই সুত্র ধরে কোতয়ালী থানা পুলিশ বুধবার বেলা ১ টার সময় জমি সংক্রান্তের বিষয় নিয়ে আগামী রবিবার সালিশির মাধ্যমে মিটমাট করার জন্য সময় বেধে দেয়। পরে আনুমানিক ৩ টার দিকে উক্ত জমির পাট জোর করে কেটে নেওয়ার জন্য ফজলু গংরা পাশ্ববর্তি ছালাম এর পাট খেতে গেলে তার লোকজন বাঁধা প্রদান করে। এ সময় ফজলু গংদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উল্লেখিত ব্যাক্তিদ্বয় মারাত্বক রক্তাত্ব জখম হয়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আহতদের দ্রুত ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে গুরুতর রক্তাত্ব অবস্থায় আহতরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান ৯ জনই মারাত্বক রক্তাত্ব জখম হওয়ায় তাদের ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা অব্যহত রয়েছে। তাই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পুর্বক প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আহতরা।
আহতদের ভাষ্যমতে উক্ত গন্ডগোলের বিষয় কানাইপুর জুট মিলের ম্যানেজার বিএনপি নেতা আলতাপের নির্দেশনায় হয়েছে। তাই এ ঘটনা জানার জন্য বিএনপি নেতা আলতাপ কে ফেপান করলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা, কেউ ষড়যন্ত্র করে আমার নাম বলছে। উল্লেখ্য হামলাকারি ফজলু কানাইপুর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি, ও মুসা ুসাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিএনপির রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েই তারা এলাকায় বিভিন্ন সময় তান্ডব চালিয়ে আসছে, তারই ধারাবাহিকতায় এই হামলা চালিয়েছে বলে আহতরা অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশ জানান, পাট কাটাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। তারপরেই দু পক্ষের মধ্যে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। উক্ত বিষয় নিয়ে কেউ অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।