ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর শহরের লক্ষিপুর এলাকার হাউজিং সংলগ্ন সৌদি ফেরৎ প্রবাসি লুৎফর রহমান চাঁদা দিতে অস্বিকার করায় তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর শহরের ঢক বস্তি এলাকার কাছেম গাছির পুত্র উজ্জল গাছী ও তার ভাইদের নামে। এমনকি প্রমান লোপাট করার উদ্দেশ্যে বাড়িতে লাগানো ২টি সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা।
শহরের লক্ষিপুর এলাকার লুৎফরের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দির্ঘ দিন তিনি প্রবাস জীবনযাপন করার পর নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। গত ৮ বছর আগে হাউজিং এর পাশে ৫.৫৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে একটি পাকা বাড়ি তৈরি করি। কিন্তু এর পর থেকেই উজ্জলসহ তার ভাইয়েরা হুমকি দিয়া বলে যে এখানে বসবাস করতে হলে আমাদের চাঁদা দিয়ে থাকতে হবে। এই চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় মাঝে মধ্যেই আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি দিয়া আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২-১০-২০২০ তারিখ সোমবার আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে চাঁদা নেওয়ার উদ্দেশ্যে আমার বাসার সামনে এসে গেট ও আমার বাড়ি সংলগ্ন বাউন্ডারি ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে এবং বাউন্ডারির কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলে। এসময় প্রমান লোপাট করার জন্য আমার বাড়িতে লাগানানো ৪ টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে ২ টি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় এবং ১ টি নষ্ট করে ফেলে। যা কম্পিউটার হার্ডডিস্কে ধারণ করা আছে। লুৎফর অভিযোগে আরো বলেন ফরিদপুর শহরের ঢক বস্তি এলাকা শীর্ষ মাদক স¤্রাট হিসাবে উজ্জল মীরকে সবাই এক নামে চিনে। এই উজ্জল মীর ঢক বস্তি এলাকায় দীঘদিন ধরে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদক বিক্রি করে যুব সমাজকে ধংস করে আসছে। সে ছদ্দবেশে মাদকের রমরমা ব্যবসা পরিচালোনা করে আসছে।
তিনি বলেন এত বড় একজন মাদক ব্যবসায়ী প্রশাসনের নজড় এড়িয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কিভাবে মাদক ব্যবসা করে আসছে তা আমাদের ধারনার বাইরে। এই মাদক ব্যবসার সাথে সম্পর্ক থাকায় কিছু শির্ষ সন্ত্রাসীর সাথে উঠাবসা করে এই উজ্জল মীর সমাজের বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছে, যা তার ক্ষমতার জোরে কখনোই প্রকাশ পাচ্ছেনা সচেতন বাংলাদেশে। এদিকে উক্ত ঘটনা কোতয়ালী থানায় তাৎক্ষনিক অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ আসলেও কোন কার্যকারি পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। পরবর্তিতে ১৪-১০-০২০২০ তারিখে কোতয়ালী থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর এজাহার দায়ের করলে ব্যাপারটি তদন্ত করার জন্য পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কিন্তু দু:খ জনক হলেও বিষয়টি সত্য যে উজ্জলের স্ত্রী ডিবি পুলিশে চাকরি করে বিধায় পুলিশ নিরব ভূমিকা করছে বলে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন। এ ছাড়াও লুৎফর রহমান বলেন, কোতয়ালী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ উঠিয়ে নেওয়ার জন্য উজ্জল মীর প্রাণে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করছে। আমরা এখন বাড়ি থেকে বাহিরে আসতে পারছিনা। উজ্জলের সন্ত্রাসী বাহিনী সবসময় আমাদেরকে পাহাড়ায় রেখেছে। তাই দ্রুত এই শহরের ঢকবস্তি এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী উজ্জল মীরসহ তার ভাইদের এই জঘন্য অপরাধ গুলো সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহীনি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগি লুৎফর রহমান ও তার পরিবার। উক্ত ঘটনা জানার জন্য ফরিদপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন উক্ত ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।