নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরে হাইব্রীড নেতাদের মত কিন্তু হাইব্রীড সাংবাদিকও রয়েছে। প্রকৃত সাংবাদিকদের ঘায়েল করে তার অবস্থান এখন শীর্ষ সাংবাদিকের তালিকায়। এটা ছিলো তদবীর ক্ষমতায় একটি ভালো মিডিয়াভুক্ত হওয়ার কারনে। ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের ক্ষমতাসীনদের নাম ভাঙ্গিয়ে ফরিদপুর জেলার মধ্যে অবৈধ ড্রেজার চালানোর কন্ট্রাক নিয়ে কোটি টাকার সম্পদ গড়েছে।
এমনই একজন কথিত হলুদ সাংবাদিক রয়ে গেল ধরাছোয়ার বাইরে। যিনি ক্ষমতার অপব্যাবহার করে সাংবাদিকতায় নাম লিখিয়েছিলেন এবং সরকারের একটি শক্তিশালী মিডিয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারি অফিস গুলোর একক বিজ্ঞাপন নিয়ে বানিয়েছে কোটি টাকা। প্রকৃত সাংবাদিকদের বানিয়েছে হকার এবং বিভিন্ন শ্রমিক এবং ব্যাবসায়ীদের বানিয়েছে সাংবাদিক। জাতীয় নির্বাচনসহ যে কোন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক কার্ড বানিয়ে, এখানেও হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এ গুলো সবই তিনি ক্ষমতাসীন দলের সাথে থেকে, ক্ষমতাসীন দলের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সেবক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি ঢাকা মিরপুর এলাকায় উচ্চ বিলাসি ৮০ লক্ষ টাকার ফ্লাট ক্রয় করেছেন এবং ফরিদপুর সারদা সুন্দরী মার্কেট, নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে রয়েছে তার অনেক গুলো দোকান।
এছাড়াও ফরিদপুর অনৈতিক ব্যাবসার মহাজন হিসেবেও তিনি পরিচিত। ফরিদপুরে গত ৮ জুন রাতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকায় কোতয়ালী পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয় ফরিদপুরের কথিত সন্ত্রাসী বাহিনীর ৯ জন বিপুল পরিমান অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিদেশী মদ, ইয়াবা, ভারতীয় রূপী, ইউএস ডলার, বাংলাদেশী টাকাসহ সরকারী ৬০ হাজার কেজি চালসহ। এই দূর্ধষ চক্রের প্রধান সহযোগী হিসেবে বাবু ফরিদপুর বাসীর কাছে পরিচিত। তিনি এখন গাঁ-ঢাকা দিয়ে রয়েছে। ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সম্মানিত সদস্যদের কাছে হয়ত তার খোজ মিলতে পারে। এছাড়াও ফরিদপুরে যে কোন সরকারি- বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন আনন্দ পর্বনে প্রশাসনের কর্তা-ব্যাক্তিদের সাথে ফটোশেসনের মধ্যে তার ছবি থাকতেই হবে।
সেই ব্যাক্তিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন ভালো ভাবেই চিনে থাকবেন। বিশেষ করে ফরিদপুরে সম্মানিত সাংবাদিক ব্যাক্তিদ্বয় তাকে ভালো ভাবে চিনেন্, তার নিকট হতে এ পর্যন্ত লাঞ্চিত হওয়ার বাকি হয়ত হাতে গোনা কয়একজন সাংবাদিক আছেন। কথিত সাংবাদিক নামধারী সাজ্জাদ বাবুর দূর্নীতির বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রশাসনের অভিযানে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী এখন ফরিদপুর জেলার আনাচে কানাচে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের।