ইসলামী শিক্ষার প্রকৃত মূল্যবোধ সৃষ্টিতে
হযরত গাউছুল আজম এর অবদান অনস্বীকার্য
একটি জাতির উন্নতি অগ্রগতির জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। জীবনমানের উন্নয়নের জন্য শিক্ষা হলো আঁধারে আলোকবর্তিকার মত। শরীয়ত ও তরিক্বতের সমন্বয়ে হযরত গাউছুল আজম রেখেছেন প্রকৃত শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা। গাউছুল আজমের চিন্তা চেতনায় সবসময় ছিল গরীব দুঃখী ও নিপীড়িত মানুষের ভাবনা সেই আলোকে পিছিয়ে পড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রতিষ্ঠা করেছেন বহু মাদরাসা। যার মাঝে শরীয়ত ও তরিক্বতের দুই ধরনের এলম রয়েছে তিনি মুহাক্বিক এর মর্যাদা অর্জন করেন। সত্যিকারের মুমিন মুসলিম মুখলেস এবং মুহাক্কিক সৃষ্টির সোনালী পাথেয় হলো গাউছিয়্যতের ছোঁয়ায় সৃষ্টি হওয়া মাদরাসাসমূহ।
একজন মানুষের জীবন আলোকায়ন এমন ভাবে হওয়া প্রয়োজন যেভাবে হলে দুনিয়া এবং আখেরাতের সর্বাবস্থায় উপকার হয়। যে জ্ঞান দ্বারা পৃথিবীতে এমন ভাবে বিচরণ করবে যেন সবসময় চিন্তায় থাকে হালাল হারামের পার্থক্য, সৃষ্টির প্রতি আন্তরিকতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা, সুন্নাহর প্রতি হৃদয়ের টান, কোরআনের প্রতি মমমত্ববোধ সর্বোপরি রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর রেখে যাওয়া আদর্শেও অনুসরণ। হযরত গাউছুল আজম (রাঃ) সমস্ত জীবন এসমস্ত বিষয়ের উপর নিবিড় দৃষ্টি রেখেছেন এবং প্রতিষ্ঠা করে গেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব প্রতিষ্ঠান উনার চিন্তা দর্শন ও ভালোবাসার ফলশ্রুতি। যার কারণে এই মাদরাসায় আসা শিক্ষার্থীরা শুধু দুনিয়াতে নয় আখেরাতের নিয়ামত পেয়েও ধন্য হয় সর্বোপরি গড়ে উঠে একজন সত্যিকারের মুহাক্বিকের মত।
আজ ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার চট্টগ্রাম উত্তর ফটিকছড়ি দাঁতমারা আল ফজল মুনিরী গাউছুল আজম তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার সালানা জলসা মাদ্রাসার ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।
নাজিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য সালানা জলসায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর । এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ২নং দাঁতমারা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জানে আলম, ২নং দাঁতমারা নিকাহ রেজিষ্টার কাজী গোলামুর রহমান, আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদুল আলম শাহ, আলহাজ্ব মোহাম্মদ সহিদুল করিম চৌধুরী, অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক অলি আহাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, আলহাজ্ব তাজুল ইসলাম সওদাগর, হযরতুলহাজ্ব মাওলানা ইসহাক মুনিরী, আলহাজ্ব রেজাউল করিম, আলহাজ্ব মাওলানা শফিউল ইসলাম, মাওলানা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল করিম প্রমূখ।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাজিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা রেদওয়ানুল হক মুনিরী ও মাওলানা মুহাম্মদ সেকান্দর আলী।
জলসা শেষে মিলাদ-কিয়াম-মুনাজাতে মাদ্রাসার উত্তোরোত্তর উন্নতি ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক কাগতিয়ার গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হু’র ফুয়ুজাত কামনা করা হয়।