প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রকাশ্যে এক ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন হৃদয়ের বিরুদ্ধে। এ সময় বাঁচাতে এসে ওই ছাত্রীর ভাইও আহত হয়েছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হোসেনপুর সদরে সড়কের গোলচক্কর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ভাইবোনকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ইমরান হোসেন হৃদয় হোসেনপুর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তিনি পশ্চিম দীপেশ্বর গ্রামের হারেছ মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, হোসেনপুর পৌর এলাকার পূর্ব দীপেশ্বর গ্রামের দরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারের ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করে আসছিল ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়। আহত ওই কলেজছাত্রী জানান, হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল জহির রায়হানের নির্দেশে উপবৃত্তির টাকার জন্য বিকাশ অ্যাকউন্ট খুলতে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কলেজে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে গোলচক্কর এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় এবং একই গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে ইয়াসিনসহ কয়েকজন যুবক ওই ছাত্রীর পথ আগলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়।
এতে সাড়া না পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার বাম হাতের কনুইয়ের ওপরে রক্তাক্ত গভীর জখম হয়। এ ঘটনা জেনে বড় ভাই দৌড়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে তারা।এর আগে গত বছর ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠানেও প্রকাশ্যে ওই কলেজছাত্রীকে চড় মারে ওই ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন হৃদয়। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সে ঘটনারও বিচার পাননি ওই কলেজছাত্রী।
এদিকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবারের ঘটনাটিকেও আড়াল করতে একটি প্রভাবশালী মহল ওঠেপড়ে লেগেছে বলেও অভিযোগ করেন ওই কলেজছাত্রী। এমন পরিস্থিতিতে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছে হামলার শিকার কলেজছাত্রীর পরিবার। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন হোসেনপুর থানার ওসি শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান।