নাটোরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়কারী চক্রের নারী সদস্যসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এই তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, শরিফা আক্তার সাথী, নাটোর সদর থানার ফুলস্বর গ্রামের আবুল হোসেন, বিকাশ এজেন্ট ফারুক ও হোসেন আলী এবং সিএনজি চালক রাজশাহীর চারঘাট থানার শিবপুর গ্রামের ছেলে মো. নজু।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১৪ জুলাই ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের সাথে বাসে পরিচয় হয় প্রতারক চক্রের নারী সদস্য শরিফা আক্তার সাথীর। পরে যে যার গন্তব্য চলে যায়। এরপর মোবাইল ফোনে মিজানুরের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে সাথী। পরবর্তীতে সাথী মোবাইল ফোনে কথোপকথনের এক পর্যায়ে কৌশলে মিজানুরকে নাটোর সদর উপজেলার ফুলসর গ্রামের আবুল হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ সময় সাথী জোর করে অসামাজিক কার্যক্রমের ছবি ধারণ করে মিজানুরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। পরে প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যরা প্রাণনাশের হুমকি ও ধারণকৃত ছবি ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে নগদ দশ হাজার টাকা কেড়ে নেয় এবং বিকাশের মাধ্যমে আরও দুই লাখ টাকা আদায় করে।
এরপর সিএনজিযোগে মিজানুর রহমানকে নাটোরের আহম্মেপুর এলাকায় নামিয়ে দেয় তারা। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান নাটোর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে। অভিযানকালে আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে একটি সিএনজিসহ নগদ এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।