রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চলছে প্রেমিকার অনশন। গত ২১ ঘণ্টা ধরে ওই তরুণী ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন বিয়ের দাবিতে। এ বিষয়ে তরুণীর বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ওই বাড়িতে অনশন করতে দেখা গেছে ওই তরুণীকে। তার ভাষ্য, ‘ও বিয়ে না করা পর্যন্ত এই বাড়ি থেকে যাব না, প্রয়োজনে আত্মহত্যা করব।’
এদিকে অনশনের পর প্রেমিক আবদুল্লাহর বাড়ির সব ঘরের দরজা এমনকি বাথরুমেও তালা দিয়ে চলে গেছে বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। ওই কলেজছাত্রী জানান, ৬ মাস আগে গৌরাঙ্গপুর গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে সেনা সদস্য আবদুল্লার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাদের মধ্যে বহুবার দেখা সাক্ষাতও হয়েছে। কিন্তু আবদুল্লা তাকে কিছু না জানিয়ে আগামী শুক্রবার অন্যত্র বিয়ে করার জন্য দিন ঠিক করেছেন।
এই বিয়ের দিন ঠিক হওয়ার খবর জানতে পেরে আবদুল্লার বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন তরুণী। এ সময় প্রেমিকা তার হাতে ব্লেড দিয়ে কেটে আবদুল্লার নাম লেখা দেখান। এ বিষয়ে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর লোকমান হোসেন জানান, চেয়ারম্যান আমাকে অবগত করেছেন। আমি আবদুল্লার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে আবদুল্লার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ সরকার জানান, ঘটনাটি জানার পর ওই ওয়ার্ডের মেম্বারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকাল ৪টা থেকে প্রেমিক আবদুল্লার বাড়ির গেটে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হবে।
উৎসঃ যুগান্তর