নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিলে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক শাহ্ সুফিয়ানকে লন্ডনে থাকাকালীন ঘর পোড়ানোর মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার, উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, ভীমপুর আঢ্য বাড়ির নুর আলম বাড়ির প্রবেশ পথে সরকারি জমি দখল করে একটি মুদি দোকান পরিচালনা করে আসছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জল রায় স্থানীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করে সরকারি জমি ও বাড়ির প্রবেশ পথ দখলমুক্ত করতে নোটিশ জারি করে। এতে ব্রিটিশ নাগরিক শাহ্ সুফিয়ানের পরিবারের সাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাদেরকে ফাঁসাতে ও হয়রানি করতে নুর আলমের ভাই মেহেদী (৩৬) নিজেদের দোকানে নিজেরা আগুন দেওয়ার নাটক করে। এতে দোকানের মালামাল অক্ষত থাকে এমনকি দোকানের ভিতরের গ্যাস সিলিন্ডারগুলোও বিষ্ফোরিত হয়নি। মেহেদী দোকানে আগুন লাগিয়েছে যা সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায় বলে বক্তারা দাবি করেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নারী নেত্রী তারফিনা শাহানাজ বলেন, ব্রিটিশ নাগরিক শাহ্ সুফিয়ানের কাছে যখনই চাটখিলের কোন দরিদ্র পরিবারের সমস্যার কথা বলি তিনি নিজ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন। যে লোক সমাজের কল্যাণে নিবেদিত সেই লোক সমাজের ক্ষতি করবে তা কল্পনাও করা যায় না। স্বেচ্ছাসেবীদের পক্ষ থেকে মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
ভুক্তভোগী শাহ্ সুফিয়ানের বাবা আবুল কালাম বলেন, তার ছেলে বিগত ১৫ বছর যাবত লন্ডনে ব্যবসা করছেন। গত ৩মাস আগে তিনি দেশ থেকে লন্ডনে ফিরে যান। তাকে ও তার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানি করতে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দোকানে আগুন লাগানোর ঘটনা পুরোপুরি নাটক বলেও তিনি দাবি করেন। এসময় তিনি আরো বলেন, সিসি টিভি ফুটেজ দেখলে নাটকের মূল রহস্য উম্মোচন হবে। দোকানের কোন কিছুই পোড়া যায়নি। কেবল তার ছেলে ও পরিবারকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার থেকে মুক্তি পেতে তিনি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উম্মোচনের জন্য গত সোমবার বিকেলে চাটখিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.গিয়াস উদ্দিন বলেন,এ ঘটনায় লন্ডনে অবস্থানরত ব্যবসায়ীকে প্রধান আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছেে। তবে দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সন্দেহ রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।