লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর অভিযুক্ত যুবককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে নিহতদের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ভাট্টা ইউনিয়নের জাফর নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে নিহত নারীর কথিত প্রেমিক রাসেল তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে অভিযুক্ত রাসেল নিহত হন। নিহত নারী ওই গ্রামের কাতার প্রবাসী ছফি উল্ল্যাহর স্ত্রী ও দুই
সন্তানের জননী নাসরিন সুলতানা, অপর নিহত যুবক রাসেল একই গ্রামের সিদ্দিক উল্লাহর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর কাতার থাকার সুবাদে স্থানীয় ছফি উল্লাহর স্ত্রী নাসরিনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সিদ্দিক উল্লাহর ছেলে রাসেলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ওই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে নারী। এতে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ঘটনার দিন নাসরিনের স্বামীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় নারী ও তার পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসলে তার গলায় ছুরি ধরে হত্যা করার হুমকি দেয় রাসেল। এক পর্যায়ে তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে সে। এ সময় তাকেও গণধোলাই দেন স্থানীয় জনতা। পরে আহতদের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল এলাকা পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার ও থানার ওসিসহ পুলিশের বিশেষ দল। পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে এক নারীকে হত্যার পর বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে অভিযুক্ত যুবকও নিহত হয়। নিহতদের মরদেহ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।