করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় আঘাতের মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ঢল নেমেছে।মহামারির এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতেও একক মাস হিসেবে এপ্রিলে ২০৬ কোটি ৭০ লাখ (২.০৬ বিলিয়ন) ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।যা গত বছরের এই মাসে আসা অর্থের দিগুণ।গত বছরের একই মাসে ১০৯ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।
এই অংকের অর্থ গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ৮৯.১১ শতাংশ বেশি।যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো একক মাসে রেমিটেন্স প্রবাহে এত বেশি প্রবৃদ্ধি আগে কখনই হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসীরা চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ২ হাজার ৬৭ কোটি ২০ লাখ (২০.৬৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এই অংক গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (জুলাই-জুন) চেয়েও ১২.২৩ শতাংশ বেশি। আর গত অর্থবছরের ওই সময়ের (জুলাই-এপ্রিল) চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি।
২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন।এরমধ্যে ওই সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) এসেছিল ১৪.৮৬ বিলিয়ন ডলার।
প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিটেন্স ঢলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা) ডলারে ঠেকেছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।সে হিসাবে বাংলাদেশের ৪৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারের এই রিজার্ভ দিয়ে (প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার হিসেবে) ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
এই রেমিটেন্স প্রবাহের হালনাগাদের তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এই মহামারির মধ্যেও বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়ে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন প্রবাসীরা। আর সেজন্য আমি আবারও আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। চলতি অর্থবছর শেষে রেমিটেন্সের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।