প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওয়ালিউর রহমান দোলনের নামে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে রংপুরের বদরগঞ্জে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
দোলন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন।
সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বদরগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারুক হোসেন মধু বাদী হয়ে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। তবে ওই স্ট্যাটাসটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে নিজের ফেসবুক ওয়াল থেকে স্ট্যাটাসটি সরিয়ে দেন দোলন।
সূত্রে জানা গেছে, ওয়ালিউর রহমান দোলন রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১৯৯৯-২০০১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
বর্তমানে তিনি সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। ওয়ালিউর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী-এমপিদের হেয় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফেসবুকে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কথাও উল্লেখ করেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওয়ালিউর রহমান দোলন ফেসবুকে টিসিবির পণ্য নিতে মানুষের দীর্ঘ লাইন নিয়ে কটূক্তি করে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে টিসিবির পণ্য নিতে ট্রাকের পেছনে দৌড়াতে বলেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও এমপি-মন্ত্রীদের নিয়ে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেন।
মামলার বাদী ও বদরগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুক হোসেন মধু বলেন, ওয়ালিউর রহমান দোলন ফেসবুকে অবমাননাকর স্ট্যাটাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ তার পরিবারের সদস্যদের অপমান করেছেন। বিষয়টি আমার কাছে দুঃখজনক মনে হয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
এ বিষয়ে আইনজীবী ওয়ালিউর রহমান দোলনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের লোকজনও এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: যুগান্তর
