মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে বের হলে গৃহবধূকে জাপটে ধরে ধর্ষণ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর আলম।
এ ঘটনা কাউকে জানালে গৃহবধূকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা। ধর্ষকের বিরুদ্ধে রোববার দুপুরে সাটুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই নারী।
জাহাঙ্গীর আলম বরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের গোপাল গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিন ওরফে সদন আলীর পুত্র মো. জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আলম ডাক্তার পাশের গ্রামের এক সন্তানের জননী ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিভিন্ন সময়ে ওই গৃহবধূকে কসমেটিক ও দামি উপহারসামগ্রী দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হন।
রাস্তায় দেখলেই হাত ধরে টেনে ধরতেন আলম ডাক্তার। এজন্য প্রয়োজনের তাগিদে বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরুতে পারছিলেন না ওই গৃহবধূ।
কুপ্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে আলম শনিবার গভীর রাতে ওই নারীর বসতবাড়িতে ওতপেতে থাকেন। রাত ৩টার দিকে প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হলেই ওই নারীকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন আওয়ামী লীগ নেতা।
গৃহবধূ বলেন, ভুয়া ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম আগে থেকেই আমাকে পথে-ঘাটে উত্ত্যক্ত করতেন। জোর করে কিছু খাওয়াতে পরাতে চাইতেন। এলাকার বড় নেতা বলে বিচার চেয়ে এলাকার মাতবরদের কাছে ঘুরেছি। ক্ষমতাধর নেতা বলে কেউ তার বিচার করতে সাহস পান না।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ওসি মো.আশরাফুল আলম যুগান্তরকে জানান, গৃহবধূ বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামি জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে মানিকগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে মানিকগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।