রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিজস্ব বিমান আছে এটি কমবেশি সবারই জানা। ব্যতিক্রম জীবন যাপনে অভ্যস্ত সাবেক কেজিবি প্রধানের বিমানটি নানা কারণেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করতে নিজের বিলাসবহুল বিমানে পুতিন সুইজারল্যান্ড যান। এ কারণেই আবারও বিমানটি আলোচনায় এল।
পুতিনের বিমানটি ‘ফ্লায়িং ক্রেমলিন’ নামে পরিচিত। এই বিমানে করেই সুইজারল্যান্ডে যান পুতিন। বাইডেন সেখানে পৌঁছান বিখ্যাত এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানে চড়ে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যবহৃত বিমানটি নিয়ে বিভিন্ন সময় শোনা গেলেও খুবই কম জানা যায় পুতিনের ৪ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিমানটি সম্পর্কে। বিলাসী এই বিমানের টয়লেটও সোনায় মোড়ানো। খবর ডেইলি মিররের।
খবরে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্টের ব্যবহৃত বিমানটি তৈরি করেছে ভোরোনেজ এয়ারক্র্যাফট প্রোডাকশন অ্যাসোসিয়েশন। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫৬০ কিলোমিটার। নিও-ক্লাসিক্যাল স্টাইলে তৈরি সুপরিসর বিমানটিতে রয়েছে কনফারেন্স কক্ষও। কক্ষের টেবিলটিও সোনায় মোড়ানো। এছাড়া রয়েছে বিলাসিতার যাবতীয় সুবিধা।
বিমানটিতে আছে জিম, পূর্ণ সজ্জিত বার এবং বেডরুম। এর প্রতিটি কোনায় চোখে পড়ে আভিজাত্য। কিন্তু একই সঙ্গে একজন বিশ্বনেতাকে বহনের জন্য প্রয়োজনীয় কমান্ড সেন্টারও রয়েছে বিমানটিতে। এই কমান্ড সেন্টার থেকে সেনাবাহিনীকে পরিচালনা করা যায়। ফলে বিমান ভ্রমণে থেকেও যুদ্ধ পরিচালনা করতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
এই বিমানে চড়েই গত বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পৌঁছান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টায় পৌঁছানোর পর প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। একই বিমানে ফিরে গেছেন তিনি।