হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা ও ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতী লীগের প্রধান উপদেষ্টা আদম তমিজি হক এবার বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলেন। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা বলছেন, দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাতে হেনেছে তার এমন কর্মকাণ্ড।
পাসপোর্ট পোরানো সেই ভিডিওতে আদম তমিজি হক বলেন, আমি আদম তমিজি হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছেন। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। আমার এদেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। আমার যোদি কোনো ক্ষতি হয় তাহলে আপনারা বুঝে নিয়েন কারা আমার এই ক্ষতি করছে।
উল্লেখ শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একের পর এক যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি ও নুরুল ইসলাম নুরুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে স্ট্যাটাস দিতে থাকেন হক গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হক।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। এরপর আরো তিনবার লাইভে আসেন তিনি। শনিবার দিনভর এমন মন্তব্যের কারণে থমথমে অবস্থা বিরাজমান ছিলো রাজনীতি অঙ্গনে। এ ছাড়াও টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে আদম তমিজি হকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সুত্র: বাংলাদেশের প্রতিদিন