সম্প্রতি আওয়ামী লীগের জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে ‘তলে তলে’ শব্দ ব্যবহারের বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরতেই ‘তলে তলে’ শব্দ ব্যবহার করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তলে তলে কথাটা পাবলিক আবার খায়। খেলা হবে যে বলি, এটা কেন বলি। পাবলিক খায়। জনগণ যেটা চায়, সেটাই বলব।’
আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সাভারের আমিনবাজারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসানীতি? তলে তলে সব আপস হয়ে গেছে। আর কোনো চিন্তা নেই, যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’
সচিবালয়ে এমন শব্দ ব্যবহারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সেতুমন্ত্রী বলেন, “তলে তলে আপস মানে সম্পর্কের উন্নয়ন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘তলে তলে’ শব্দ বলেছি। আমরা যেমন বলি ‘খেলা হবে’।”
‘তলে তলে আপস হয়েছে’ এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশে গুজব ও অপপ্রচারের জন্য বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে, আমাদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক অবনতির দিকে। আমাদের সম্পর্ক খারাপ। এ ধরনের একটি গুজব ও অপপ্রচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। সম্পর্ক খারাপ এ বিষয়টি আমাদের দেশে সার্বিক অবস্থায় রাজনীতিতে এ মুহূর্তে কাম্য নয়। আমি কথাটা যা বলেছি, সেটি কি আপনারা অনুধাবন করছেন না?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘(যুক্তরাষ্ট্রের) নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে (প্রধানমন্ত্রীর) বৈঠকের বিষয়ে এক সপ্তাহ পর্যন্ত কেউ জানে না। তাহলে তলে তলে অনেক কিছু হচ্ছে, আমি যে কথা বলেছি, তা তো ভুল বলিনি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার কন্যা যে সেলফি তুলেছেন, তখনো তো কিছু কথা হয়েছে। সেটা তো এখনও বলাবলি হচ্ছে। এটা তো আর প্রকাশ্যে হয়নি। এটা কোনো কাগজেও আসেনি, মিডিয়ায়ও আসেনি। সুতরাং, তলে তলে আপস মানে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন, বা আমাদের সম্পর্ক ভালো আছে। আমি সেটা বোঝাতে চেয়েছি।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ভারত কিংবা যুক্তরাষ্ট্র, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাবে, এটি উদ্ভট কল্পনা। আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের জনগণ।’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করলে জবাব দেওয়ার জন্য সরকার এবং আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে।’