কুয়েতে আটক হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে অর্থপাচারে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেদেশের আরও দুই নাগরিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাদের একজন হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিসটেন্ট আন্ডারসেক্রেটারির কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। আর অপরজন হলেন মন্ত্রণালয়ের আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ছেলে। কুয়েতের সংবাদমাধ্যম আরব টাইমস-এর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ৬ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কীভাবে তিনি মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারা সহায়তা করেছেন ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের জন্য। তদন্তে জানা যায়, এমপি পাপুলের জন্য ২৩ হাজারের বেশি কর্মীর এন্ট্রি ভিসার অনুমোদনে সহায়তা দিয়েছেন কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জাররাহ। আর এসব তথ্য সামনে আসার পরই কুয়েতের ওই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবার আরও দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আল রাই ডেইলিকে উদ্ধৃত করে আরব টাইমস জানায়, নতুন করে তদন্ত শুরু হওয়া ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এরইমধ্যে অর্থপাচারে সংশ্লিষ্টতার বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ফিনান্সিয়াল ইনভেস্টিগেশন ইউনিট। পাবলিক প্রসিকিউশনে এটি জমা দেওয়া হয়েছে। এখন ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে একইরকমের অন্য মামলাগুলোর সংযোগ খতিয়ে দেখছে প্রসিকিউশন।
সূত্রকে উদ্ধৃত করে আরব টাইমস জানায়, এখন প্রত্যেকটি ভিন্ন ভিন্ন মামলাকে আলাদাভাবে সামলাচ্ছে প্রসিকিউশন। এখন পর্যন্ত পাপুল বা ফুয়াদ নেটওয়ার্জের অন্য মামলাগুলোর সঙ্গে এ দুইজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবে নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখার অনুরোধ জানাবে প্রসিকিউশন।