মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সেলিনা ইসলামের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুদক। সোমবার দুদকের পরিচালক আক্তার হোসেন আজাদের স্বাক্ষরে এই নোটিশ জারি করা হয় বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে এই দম্পতিকে তাদের নামে-বেনামে ও তাদের ওপর নির্ভরশীল সবার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ১১ নভেম্বর পাপুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। উপপরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্যও দেয়া হয় মামলায়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে এমপি পাপুলের শ্যালিকার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৪৮ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য মিলেছে। তিনটি ব্যাংকে পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের নামে পাঁচটি হিসাবে জমা হয় মোট ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও অনেকের ব্যাংক হিসাব থেকে ওই পরিমাণ টাকা জমা হয়। পরে তা থেকে ১৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে চলতি বছরের জুনে এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি বর্তমানে দেশটির কারাগারে আছেন। কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাপুলের নামে জমা থাকা ১৩৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে মানব পাচার, অর্থ পাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগে বলা হয়, তিনি কুয়েতে মানব পাচার করে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। হুন্ডি ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২০১৬ সালে বিদেশ থেকে ২৮০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।