অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশের এমপি শহিদ ইসলাম পাপুল। এবার কুয়েত সরকার সেখানকার বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধেও মামলা করতে যাচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে মিডল ইস্ট মনিটর। ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা করতে পারে কুয়েত’ শিরোনামের সংবাদটি হুবহু তুলে ধরা হলঃ
ঘটনাপ্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে, এই স্ক্যান্ডাল শুধু একজন এমপির নৈতিক স্খলনের বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। ধারণা করা হচ্ছে, কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও অপরাধ জগতের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন।
বিভিন্ন অভিযোগে এমপি শহীদুল ইসলাম পাপুল আটক হবার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামকে সতর্ক করতে বাধ্য হন। সম্প্রতি মোমেন বলেছেন রাষ্ট্রদুতের বিরুদ্ধে কুয়েত অভিযোগ দায়ের করলে বাংলাদেশও তাকে কোন ছাড় দেবে না।
‘মানি লন্ডারিং এবং মানবপাচারের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে। যে দলই করুক না কেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে’, মোমেন বলেছেন।
রাষ্ট্রদূত কালামের নিয়োগের মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে, যার মানে তিনি বাংলাদেশে ফিরতে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে মোমেন বলেন, ‘কুয়েতে আমরা আমাদের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত চূড়ান্ত করে ফেলেছি’।।
উৎসঃ মানবজমিন