হযরত শাহজালালসহ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বার্ড হিট বা উড়োজাহাজে পাখির আঘাতের ঘটনা বেশ নিয়মিত।
এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকলেও পাখি তাড়াতে নেই আধুনিক কোন ব্যবস্থা। ফলে ঝুঁকি নিয়ে বিমান চালাতে হয় পাইলটদের।
পাখি তাড়ানোর জন্য যে ছয়টি বন্দুক ছিল তার মধ্যে বর্তমানে চারটিই অচল।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের আশপাশে রয়েছে ছোট বড় জলাশয়। ফলে বছর জুড়েই বিমানবন্দর এলাকায় পাখির আনাগোনা থাকে; শীতকালে আরও বাড়ে পাখির আনাগোনা।
প্রতিবছরই উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে পাখি ঢুকে পড়া বা শতাধিক বার্ড হিটের কারণে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয় অনেক ফ্লাইট। গেল বছরও বাংলাদেশ বিমানের একটি ড্যাশ এইট উড়োজাহাজ বার্ড হিটের কবলে পড়লে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয় তিন ঘণ্টা।
পাইলটদের দক্ষতায় এ পর্যন্ত বড় কোন দুর্ঘটনা বা প্রাণহানি না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উড়োজাহাজ।
অথচ পাখি তাড়াতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একমাত্র বন্দুকই সম্বল। ৮ জন বার্ড শ্যুটার থাকলেও ছয়টি বন্দুকের মধ্যে চারটি অচল থাকায় পাখি তাড়াতে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান জানান, বন্দুক কিনতে হলে লাইসেন্সিং-এর ব্যাপার আছে।
এগুলোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পেলে ৬টি বন্দুক কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।
অবশ্য বিমানবন্দরে পাখি নিয়ন্ত্রণে রাডারসহ আধুনিক পদ্ধতি স্থাপনের কথা বলছেন সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। তিনি জানান, এক ধরনের রাডার আছে, অ্যাকুস্টিক সাউন্ড দেবে ও রাডার দিয়ে স্ক্যান করবে; ওই ব্যবস্থা করতে কাজ চলছে।