নিয়মরক্ষার ম্যাচে মাত্র ১২১ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৫ উইকেট হাতে রেখেই সহজ জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
শুক্রবার ১২২ রানের লক্ষে নেমে ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। কুশাল মেন্ডিস ও দানুস্কা গুনাথিলাকা দু’জনই ফেরেন শূন্য রানে। শ্রীলঙ্কার তৃতীয় উইকেটটি পড়ে দলীয় ২৯ রানে। পরে সমস্ত চাপ সামাল দেন পাথুম নিসাঙ্কা ও ভানুকা রাজাপাকসে মিলে। দু’জনে মিলে গড়েন ৫১ রানের জুটি।
এ সময় ১৯ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন রাজাপাকসে। ২১ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন দলপতি শানাকও। এরপর হাসারাঙ্গার ১০ ও পাথুম নিসাঙ্কাতে ভর করে জিতে শ্রীলঙ্কা। নিসাঙ্কা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৫ রানে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারেই মোহাম্মদ রিজওয়ান ফিরে গেলেও অধিনায়ক বাবর আজম এবং ফখর জামানের দৃঢ়তায় সেই ধাক্কা সামাল দেয় তারা। টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটসম্যান রিজওয়ানকে ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারেই ধরাশায়ী করেন অভিষিক্ত লঙ্কান পেসার প্রমোদ মাদুশান। তার আউটসুইংয়ে পরাস্ত হয়ে ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফেরেন রিজওয়ান।
দ্বিতীয় উইকেটে বাবর-ফখর ওয়ানডে ধাঁচে ৩৫ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন। তবে দশম ওভারে চামিকা করুনারত্নের বলে ফখর ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরলেই ঘটে ছন্দপতন। পরের ওভারেই এশিয়া কাপে রানখরায় ভুগতে থাকা বাবর ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে যান। ফেরার আগে এবারের এশিয়া কাপে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৩০ রান করেন।
পাকিস্তান ইনিংসের বাকি সময়টায় শুধুই আসা-যাওয়ার মিছিল চলে। লঙ্কান বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ৬৩ রানে ১ উইকেট থেকে কয়েক ওভারের ব্যবধানে ৯৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
শেষদিকে ভারত ম্যাচে জয়ের নায়ক মোহাম্মদ নওয়াজের ১ চার, ২ ছয়ে ১৮ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংসে একশ’ পার করে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার পক্ষে চার ওভার বোলিং করে মাত্র ২১ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা। ৪ ওভার বোলিং করে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন আরেক স্পিনার মহেশ থিকশানা।