
পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খুলে টিকটক করে গ্রেফতার হওয়া বাইজিদ তালহার পটুয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (২৭ জুন) বিকেল ৫টার দিকে পটুয়াখালীর লাউকাঠি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামের মৃধা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে থাকা বাইজিদের মেঝ ভাবি হাদিসা বেগম জানান, ৮-৯টি মোটরবাইকযোগে ২০-২৫জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাড়িতে উপস্থিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা রামদা, দা, কুড়াল দিয়ে ঘরের সামনের ও পশ্চিম পাশের টিনের বেড়া কুপিয়ে ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ঘরে প্রবেশ করে মালামাল তছনছ করে। সন্ত্রাসীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখেই হাদিসা পাশের ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন বলে জানান।
হাদিসা আরও জানান, তার স্বামী মো. সোহাগ মৃধা পটুয়াখালী শহরের ফায়ার সার্ভিস অফিসে কর্মরত থাকলেও ঘটনার সময় তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘরে তিনি ও তার মেয়ে ফাতিমাতুজ্জোহরা (৩) উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেশী জাহেদা আক্তার জানান, টিন ভাঙচুর ও কোপানোর শব্দ শুনে আমরা দৌড়ে এসে দেখি ২০-২৫ বছর বয়সি অনেকগুলো পোলাপান ঘরের টিন ভাঙচুর করছে। তাদেরকে অপরিচিত লাগছিল, তবে তাদের কথাকার্তায় পটুয়াখালীর আঞ্চলিকতা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা হাদিসা ভাবীর স্বামী সোহাগের নতুন মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করেছে।
আরেক প্রতিবেশী খালেক মৃধা জানান, হামলার সময় সন্ত্রাসীরা বলছিলো এরকম ভিডিও করা ঠিক হইছে? এই বলেই তারা ঘরের চারদিকের টিনের বেড়া কুপিয়েছে।
ওই ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার মিজানুর রহমান জানান, মোবাইল ফোনে তার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ঘটনা জানার পর তিনি চৌকিদারকে ওই বাড়িতে পাঠান।
তবে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে যে, যারা এ হামলা ও ভাঙচুর করেছে তারা সবাই অপরিচিত। তবে সোহাগের স্ত্রী হাদিসা বলেন, সন্ত্রাসীদের কয়েকজনকে আবার দেখলে তিনি চিনতে পারবেন।
পটুয়াখালী সদর থানার এসআই ছলিমুর রহমান জানান, ওসি সাহেবের নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। দুর্বৃত্তরা ঘরের টিন কুপিয়েছে, কিছু মালামাল ভাঙচুর করেছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলছি, বিস্তারিত পরে জানাতে পারবো।