নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে পতাকাবাহী গাড়ি ও পুলিশ প্রটোকল নিয়ে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের বিরুদ্ধে। নিজে প্রার্থী না হলেও শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় আরকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিয়ে হাজির হন প্রতিমন্ত্রী। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। রিটানিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারি সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেননি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দকে। কিন্তু জাতীয় পার্টির কাছে এ আসনটি ছেড়ে দেওয়ায় দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। নির্বাচনে অংশ না নিলেও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তিকে সমর্থন দিয়েছেন।
শনিবার স্থানীয় আরকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লাঙ্গল প্রতীকের নির্বাচনী জনসভায় বিকেল চারটার দিকে সমাবেশ স্থলে হাজির হন প্রতিমন্ত্রী। সামনে পুলিশ প্রটোকলের গাড়ির পেছনে পতাকাবাহী সাদা গাড়ি থেকে নামার পর জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি স্বাগত জানিয়ে মঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে যান প্রতিমন্ত্রীকে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী নিজেই। সভায় নিজের বক্তব্যে লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চেয়ে জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, লাঙ্গলই নৌকা, নৌকাই লাঙ্গল। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানান, প্রার্থীরা এ ধরণের সুযোগ পায় না। তবে তিনি যেহেতু প্রার্থী নন সেহেতু এক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করে তিনি নির্বাচনী কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। আমরা এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।