মো. রাসেল ইসলাম: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে শার্শার অলিগলি। পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে আবারও আলোচনায় এসেছে চায়ের দোকান গুলো। সময় যত ঘনিয়ে আসছে চায়ের কাপে ততোবেশি ঝড় বইছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এই ইউপিতে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।
মনোনয়নপত্র বাছাই ৪ নভেম্বর ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ নভেম্বর। সর্বশেষে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৮ নভেম্বর।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, যশোরের শার্শায় নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেতে দ্রুততার সাথে কাজ করছেন আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দলীয় এবং বিরোধী দলের সাধারণ জণগণের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও চুলচেরা বিশ্লেষণ কষাকষি হলেও অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না বলে শুনা যাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া তথ্য সূত্রে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, উপ-নির্বাচনসহ অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করবে বলে জানা যায়।
দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি ও তোড়জোড়ে যে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে তা যেন প্রকাশ্যে ভেসে উঠছে। এদিকে নৌকা প্রতীক পেতে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে নেতাকর্মীরা। প্রচার বাড়াতে এলাকায় জনসংযোগ করছেন তারা।
ক্ষমতাশালী দলের নেতাদের মধ্যে রীতিমতো দলীয় মনোনয়ন নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মনোনয়ন বাগাতে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের কাছে তদবির শুরু করেছেন আগ্রহী প্রার্থীরা।
আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা উর্ধ্বতন নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে না পারলেও নানা অনুষ্ঠানে, খেলাধূলা, সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অনুদান দিয়ে জনগণের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছেন।
তবে চেয়ারম্যান পদে জেতার জন্য কেবল নৌকা প্রতীক নির্ভরতা যথেষ্ট নয়। প্রার্থীর ন্যুনতম গ্রহণ যোগ্যতা, অতীত কর্মকান্ড নিয়ে ব্যক্তি ইমেজের ভোট ব্যাংক ফ্যাক্টর হবে বলে জানা যায়।
উপজেলাতে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন বিগত নির্বাচনে নৌকা মার্কায় নির্বাচিত এবং বর্তমান চেয়ারম্যানগণ।
তবে এবারের স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা বজায় রাখলে তৃণমূল পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদে সঠিক ও স্বচ্ছ জনপ্রতিনিধি ঠাঁই পেতে পারেন বলে মনে করেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।