নোয়াখালীর সেনবাগে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পতাকা হাতে নেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতারা আহতদের ঠিকানা জানাতে পারেননি।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাইলট স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপজেলার সেনবাগ পৌরসভা চত্বর সংলগ্ন পাইলট স্কুল মাঠে এসে উপস্থিত হন উপজেলার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সেখান থেকে র্যা লি শুরু করতে গেলে পতাকা হাতে নেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে বাগবিতণ্ডা এবং পরে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষই ইট, বাঁশ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ছাত্রলীগের অন্তত ৬ জন নেতাকর্মী আহত হন।
সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক তানভীর বলেন, বর্তমানে সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, সংঘর্ষ হয়নি। নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি ও কথা কাটাকাটি হয়েছে। কোনো নেতাদের মধ্যে নয়, কর্মীদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। এটা একদম সিম্পল বিষয়।
সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগান বলেন, র্যা লিতে জুনিয়রদের মধ্যে তর্কবিতর্ক নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির জের ধরে হাতাহাতি ও মারামারি হয়েছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মানিক বলেন, তেমন সিরিয়াস কেউ আহত হয়নি। নরমাল কতজন আহত আছে তা আমি বলতে পারব না। আমি ঢাকায় আছি।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, সংঘর্ষ হয়নি। পতাকা কার হাতে থাকবে এটা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি ও ঠেলাঠেলির ঘটনা ঘটেছে। ইটের টুকরার আঘাতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের নাম-ঠিকানা জানা নেই। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।