‘সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের’ আওতায় নেপালকে করোনা চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশিধর মিশ্রের কাছে ওষুধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গঠিত ‘সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের’ আওতায় বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে নেপালের জনগণের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ এই উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে— বাংলাদেশে তৈরি রেমিডেসিভির ইনজেকশন, পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ফ্লোর ক্লিনার।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং উন্নত দেশগুলোতে বাংলাদেশের উন্নত মানের ওষুধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী রফতানির বিষয়টি উল্লেখ করেন।
নেপালের রাষ্ট্রদূত করোনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ এবং এদেশের উদ্যোক্তা ও ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেন। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম থেকে শিক্ষণীয় আছে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এছাড়া সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এ ধরনের সহযোগিতা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে ড. বংশিধর মিশ্র আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এ বছর মার্চ মাসে সার্ক নেতাদের অংশগ্রহণে একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল’ গঠন করা হয়— যা নিজ নিজ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এই তহবিলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ লাখ মার্কিন ডলার প্রদান করেন।