নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী) আসনের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন অফিসার গোলাম মোস্তফা জানান, সোমবার উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। এদিন দলীয় সমর্থকদের নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান। সাজ্জাদুল হাসান বিভিন্ন জেলায় প্রশাসন ক্যাাডারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পর দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে অবসর গ্রহণের পর দায়িত্ব পালন করেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে। সেখান থেকে অবসরগ্রহণের পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত হন। চাকরিতে থাকা অবস্থায়ও এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন। নেত্রকোণায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও আদর্শনগরে শহীদ স্মৃতি কলেজ প্রতিষ্ঠা, মোহনগঞ্জ পৌরসভায় অত্যাধুনিক পার্ক, বাহাম গ্রামে শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স, জৈনপুর গ্রামে উকিলমুন্সি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও আদর্শনগরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ এবং মোহনগঞ্জের শিয়ালজানি খালের খনন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রভৃতি উন্নয়নমূলক কাজে তার প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে। এসব উন্নয়ন কাজের মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচনী এলাকায় যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। সাজ্জাদুল হাসানের বড় ভাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে কর্মরত আছেন।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুর ২টায় মনোনয়ন দাখিলের পর নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সাজ্জাদুল হাসান। এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন, সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক গোলাম রসূল তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূর খান মিঠু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ভজন সরকারসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন গত ১১ জুলাই বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। এ কারণে গত ১৬ জুলাই নির্বাচন কমিশন পদটি শূন্য ঘোষণাসহ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে। সে অনুযায়ী আগামী ২ সেপ্টেম্বর আসনটিতে ভোট গ্রহণ করার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ জন। এর মধ্যে, ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৯ জন পুরুষ আর ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৫৬ জন নারী। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১২ জন। আর, মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৭টি।