
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) দাবি করেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য হিসেবে একজন কলেজছাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রথম সংগঠনটির কোনো নারী সদস্যকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিল সিটিটিসি।
জোবাইদা সিদ্দিকা নাবিলা নামের ওই কলেজছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, এই প্রথম আনসাল আল ইসলামের কোনো নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি।
সিটিটিসির দাবি, এর আগে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের নারী সদস্য গ্রেপ্তার হলেও তারা নাবিলার মতো ‘প্রশিক্ষিত’ ছিলেন না। অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গি হন এই নারী। নাবিলা গ্রেপ্তার হওয়ার আগপর্যন্ত পুলিশের ধারণা ছিল, তারা যাকে খুঁজছে, তিনি পুরুষ। তবে আনসার আল ইসলাম জেনেবুঝেই নারীকে দলে ঢুকিয়েছে বলে তাদের আশঙ্কা। আরও নারী এই সংগঠনে যুক্ত হয়েছেন কি না, খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আনসার আল ইসলামের মিডিয়া শাখায় অর্থাৎ ‘জঙ্গিবাদের প্রচারের’ দায়িত্বে ছিলেন নাবিলা। তবে সামরিক শাখার সঙ্গেও তার ‘যোগাযোগ ছিল’। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে জঙ্গিবাদের কাজে ব্যবহৃত সিমকার্ড ও মেমোরিকার্ডসহ মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
নাবিলা ২০২০ সালের প্রথম দিকে ছদ্মনামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন। তার সঙ্গে আনসাল আল ইসলামের ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনের সঙ্গে যোগযোগ হয়। এরপর থেকেই তিনি উগ্রবাদী মতাদর্শকে কঠোরভাবে লালন করতে থাকেন। তাদের মতাদর্শকে সবার সঙ্গে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনলাইন মিডিয়া প্লাটফর্মকে বেছে নেন নাবিলা। ফলশ্রুতিতে তিনি ফেসবুক, টেলিগ্রাম ও অন্যন্য মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রচার কাজ চালাতেন।