বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশটির জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বলে নিজদের অবস্থান পুর্নব্যক্ত করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এমনটি জানান মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমরা বারবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। এটি এমন একটি বিষয় যা বাংলাদেশের জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
অরিন্দম বাগচি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এ বিষয়ে কাজ করবে। আমার মনে হয়, আমি এটা অনেকবার বলেছি।’
কোনো একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেননি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ।
ব্রিফিংয়ে ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ঢাকার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং দেশটির জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি।’
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে পঞ্চবার্ষিক ভারত-যুক্তরাষ্ট্র টু প্লাস টু মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছি।’
দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে টু প্লাস টু সংলাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করা ভারতের কাজ নয়। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে ভারত। একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল দেশের রূপকল্পকে সমর্থন অব্যাহতও রাখবে নয়াদিল্লি।’
এর আগে ভারত জানিয়েছিল, তারা বাংলাদেশের ‘স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল’ জাতির রূপকল্পকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।